নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ডাক্তারই নন, যোগ্যতাও নেই—অথচ রীতিমতো নামের আগে ডাঃ ব্যবহার করে দিচ্ছেন চিকিৎসা। উপজেলার জামনগর বাজারে শাহদৌল্লা ফার্মেসীর পরিচালক গোলাম মোস্তফা নামের আগে ডাঃ ব্যাবহার করে গ্রামের সহজ সরল সাধারণ মানুষের সাথে চিকিৎসার নামে করছেন প্রতারণা।
তিনি রীতিমতো দোকানের সামনে সাইনবোর্ডে এবং নিজের ভিজিটিং কার্ডেও নামের আগে ব্যবহার করছেন প্রোঃ ডাঃ গোলাম মোস্তফা। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের পদ ধারী নেতা হওয়াই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় সম্প্রতি জামনগর বাজারে শাহদৌল্লা ফার্মেসীতে ৫০ উর্দ্ধো কলিম নামের এক ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থ্যতা নিয়ে আসেন। গোলাম মোস্তফা তার মুখে অসুস্থ্যতার বর্ণনা শুনে প্রায় ৫ পদের ঔষধ দেন। এমন চিকিৎসা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে এর সদউত্তর দিতে পারেনা নামের আগে ডাঃ বসানো গোলাম মোস্তফা। জানা যায় তার পল্লী চিকিৎসকের নেই কোন সার্টিফিকেট। গোলাম মোস্তফা নাম বললে চেনেনা অনেকেই। তবে ডাঃ গোলাম মোস্তফা বললে চেনেন সকলেই।
স্থানীয় জুয়েল রানা বলেন গোলাম মোস্তফা একজন ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাঃ লিখে সে চিকিৎসা প্রদান করছেন। তার এই ডাক্তারী করাতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। এবং তার এই যোগ্যতাবিহীন চিকিৎসা প্রদানে স্থানীয়রাও রয়েছে সংকিত।
স্থানীয়দের মধ্যে জানার কৌতুহল থাকলেও উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হওয়াই কেউ এনিয়ে কথা বলে ঝামেলাই জড়াতে চাননা বলে মন্তব্য করেন অনেকেই।
এবিষয়ে জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, তিনি এম.বি.বি.এস সনদ ধারী ডাক্তার নয়। স্থানীয়া ডাক্তার বলে ডাকতে ডাকতে ডাক্তার নাম হয়েছে। তবে তার বিষয়ে বিস্তর মন্তব্য করতে রাজি হননি ইউপি চেয়ারম্যান।